প্রশ্নত্তরে ‘আধার বাতিল’ থেকে CAA, NRC: গ্রাম মহল্লায় তীব্র নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক

গত দু'সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে আধার কতৃপক্ষ (UIDAI) পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষকে চিঠি পাঠিয়ে জানাচ্ছে যে "ভারতে থাকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তোমার আধার নং (আধার কার্ড) ব্লক করে দেওয়া হল"। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে শুরু করে সমস্ত দৈনন্দিন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। বাস্তবত বেনাগরিক করা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এটা শুরু, নির্বাচনের পরে যা ব্যাপক হারে হবে। নো এনার্সি মুভমেন্টের কমল শূর, যিনি দীর্ঘদিন CAA, NPR, NRC, আধার, নাগরিকত্বর প্রশ্নে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতিকে সংক্ষিপ্ত ও সহজ প্রশ্নত্তরের মাধ্যমে আলোচনায় এনেছেন। এইমুহূর্তে বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করে সাধারণ ভাবে উঠে আসা বেসিক কিছু প্রশ্নের উপর দুটি পর্বে প্রকাশিত লেখাগুলি আমরা একত্রিত করে মেহনতি.ইন-এ প্রকাশ করলাম। সকলের মতামত কাম্য। 
   

১) প্রশ্ন- সরকারের নির্দেশে UIDAI কী চিঠি পাঠিয়েছে ?
উত্তর- সরকারের নির্দেশে UIDAI বলেছে, ভারতে বসবাস করার প্রয়োজনীয় শর্ত তুমি পূরন করছ না, তাই তোমার আধার নং ব্লক করা হল। 

২) প্রশ্ন- এটার মানে কী?
উত্তর- এটাই NRC। আপনাকে বেনাগরিক করা হল। আপনাকে ওদের শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজ দেখিয়ে নাগরিকত্ব রেজিস্ট্রি করাতে হবে।

৩) প্রশ্ন- নেতারা যেটা বলছে তার মানে কী ? 
উত্তর- শুভেন্দু, সুকান্ত, শান্তুনুরা বলছে ফর্ম পূরন করে পাঠাও। এটাই CAA, মানে তুমি বিদেশি নিজে হাতে লিখে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন কর। এবং ওদের চাহিদা মত কাগজ দাও।

৪) প্রশ্ন- মমতা ব্যানার্জী যে বলছেন নতুন কার্ড দেবে, তাহলে?
উত্তর- মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কী একবারও CAA2003 এর বাতিল বা NPR NRC CAA এর বাতিলের দাবী করেছেন ? না করেন নি। সুতরাং উনি যা বলছেন তার কোন মানে নেই। নির্বাচনী স্টান্ট মাত্র। মমতা ব্যানার্জি যদি সত্যি কিছু করতে চাইতেন তবে  CAA 1985, 1986, 2003 বাতিলের দাবী করে তার দলকে রাস্তায় নামাতেন। 

৫) প্রশ্ন- সিপিআইএম এর এই প্রশ্নে অবস্থান ?
উত্তর - সিপিআইএম-ও আজ পর্যন্ত CAA1986, 2003 বাতিলের দাবী করেনি। বরং বিজেপি কংগ্রেস তৃনমূলের সাথে মিলে একসাথেই CAA 2003 মানুষকে বেনাগরিক আইন তৈরির শরিক। তারা গত 05/02/2024 কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছে তারা একটা নতুন CAA চায়। অর্থাৎ NPR NRC করার CAA 2003য়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

৬) প্রশ্ন- এরপর কী হবে ?
উত্তর- নির্বাচনের পর দেশের প্রত্যেককে এই চিঠি বা ম্যাসেজ পাঠাবে। বলবে আধার পোর্টালে গিয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরন করতে।

৭) প্রশ্ন- তারপর ?
উত্তর- NRC লিস্ট বেরোবে। যাদের লিস্টে নাম থাকবে তারা নাগরিক,যাদের নাম থাকবে না, তারা বেনাগরিক।

৮) প্রশ্ন - পরবর্তী পদক্ষেপ কী ?
উত্তর- তারপরই 13/12/23 এ দেওয়া গৌহাটি হাইকোর্টের রায়ের প্রয়োগ। সমস্ত ধরনের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেশহীন করে দেওয়া।

৯) প্রশ্ন- যে আইনে এসব করছে তাতে কী লেখা আছে ?
উত্তর- CAA 2003 আইন ও রুলে এসব হচ্ছে। CAA 2003 আইনে , দেশের বসবারত সমস্ত মানুষকে সন্দেহ জনক অভিবাসী বলা হয়েছে। সবাইকে উপযুক্ত প্রমান দিয়ে নাগরিকত্ব রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। 

১০) প্রশ্ন- এই কাজে আধার নং কেন ব্যবহার করা হচ্ছে ?
উত্তর - আধার কোনো কার্ড নয়। একটা রেনডাম সংখ্যা। তার জন্য এর নাম Unique Identification Number। বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে সরকার দেশের 98শতাংশের বেশি মানুষের আধার কার্ড (আধার সংখ্যা) করিয়ে ফেলেছে। এখন এটাকে একটা NRC করার টুলস্ হিসাবে ব্যবহার করছে। প্রতিটি মানুষের জীবনের প্রতিটি কাজের সঙ্গে আধারকে যুক্ত করে দিয়েছে। ফলে সরকার দিল্লিতে বসে প্রতিটি মানুষকে কন্ট্রোল করতে পারবে। আগামি দিনে MNIC কার্ড দেওয়ার পর নজরদারিও রাখতে পারবে। ভোটের পর সবাইকে ম্যাসেজ বা চিঠি পাঠাবে, অনলাইনে NPR তথ্য পূরন করতে। না করলে আধার ব্লক, বেনাগরিক।

১১) প্রশ্ন - এখন করনীয় কী ?
উত্তর- প্রথমেই কেউ চিঠি পেলে নিজে চিঠি সহ সোসাল মিডিয়ায় সেটা প্রকাশ করুন। আপনার ভয় বা লজ্জা পাওয়ার কথা নয়। আপনি এবং আপনার পূর্বপুরুষ শয়ে শয়ে বছর ধরে ভারতের নাগরিক। যারা চিঠি পাঠাচ্ছে তাদের ভয় ও লজ্জা পাওয়ার কথা।
ভয়ে ঘরে বসে থাকলে বা নেতাদের পিছনে ছুটে কোনো লাভ হবে না। কারন তারা কেউই NPR NRC CAA আইন বাতিলের দাবী করছে না। উল্টে আপনাকে বেনাগরিক হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আসামে যেমন তীব্র আন্দোলন করে NRC প্রয়োগ করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও তেমনি পাল্টা তীব্র আন্দোলন করে NPR NRC CAA অর্থাৎ CAA 1986, 2003, 2019 বাতিল করাতে হবে। অন্য কোনো রাস্তা নেই।

১২) প্রশ্ন:- গত কয়েকদিন ধরে নেতা মন্ত্রী সান্ত্রীদের আশ্বাষনের পর যাদের আধার নং (আধার কার্ড) ব্লক হয়েছিল সেগুলো এখন কী অবস্থায় আছে?
উত্তর:- চারদিক থেকে যা খবর এখনও পর্যন্ত পেয়েছি তাতে জানা গেছে কিছু কিছু মানুষের আধার নং আবার চালু হয়েছে। কিন্তু সবার নয়।

১৩) প্রশ্ন:- এর ফলে আধার নং ব্লক করার চিঠিগুলো কী বাতিল হয়েছে?
উঃ না, একেবারেই না। 
যতক্ষন না সরকার বা আধার কতৃপক্ষ পুনরায় চিঠি দিয়ে প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে জানাচ্ছে, যাদের আধার নং ব্লক করার নোটিশ পাঠানো হয়েছে তা বাতিল করা হল, ততক্ষণ ঐ চিঠি সরকারী নির্দেশ হিসাবেই থাকবে। সামনে ভোট, সাময়িক মানুষের চাপের জন্য আধার নংগুলো চালু করা হয়েছে বুঝতে হবে। যেকোন সময় চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী আবার আধার নং আবার ব্লক হয়ে যেতে পারে।

১৪) প্রশ্ন:- আধার কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কী বলছে ?
উত্তর:- আধার কতৃপক্ষ এতদিন এই চিঠি পাঠানোর বিষয়টাকে অস্বীকার করলেও এখন স্বীকার করেছে তারা চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু উত্তরটা দিচ্ছে বহুল প্রচলিত বাংলা প্রবাদ বাক্যের মত, "ঠাকুর ঘরে কে? আমিতো কলা খাইনি"। তাদেরকে কেউ প্রশ্ন করেনি আধার নং কে বাতিল করেছে? তাদের প্রশ্ন করা হয়েছে আধার নং কেন ব্লক করা হয়েছে। কিন্তু তারা বলছে তারা বাতিল করেনি। এর মধ্যে দিয়ে আধার প্রসঙ্গে সরকারের মূল উদ্দেশ্য প্রকাশ পেয়েছে। আসলে এর পরের ধাপ হল আধার নং বাতিল করার।

১৫) প্রশ্ন:- তাহলে নেতা মন্ত্রীদের আশ্বাষনের মানে কী ?
উত্তর:- দেশ চলে আইনের ভিত্তিতে, নেতা মন্ত্রীদের আশ্বাষনে নয়। ভোটের পর তাই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অবলিলায় বলতে পারে "ওতো নির্বাচনী জুমলা থা" 

১৬) প্রশ্ন:- আইনে কী আছে ?
উত্তর:- CAA 2003 আইন ও রুলে সুস্পষ্ট করে বলা আছে দেশে বসবাস করে, এরকম প্রতিটি মানুষকে NPRয়ে প্রমান্য নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে। যাদের নথি সরকারের কাছে যথেষ্ঠ নাগরিকত্বের প্রমান নয় বলে মনে হবে, তাদের নাম NRC তালিকায় তুলবে না। NRCতে নাম না উঠলে বেনাগরিক। কারো আশ্বাষনে বা ভাষনে দেশ চলে না।

১৭) প্রশ্ন:- এরকম আইনের ধারা সংবিধান ও নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫য়ে কি প্রথম থেকে অর্থাৎ ১৯৫১ থেকেই ছিল?
উত্তর:- না , এরকম কোন ধারা সংবিধান ও নাগরিকত্ব আইনে ছিল না। স্বাধীনতার ৫৬ বছর পরে ২০০৩সালে অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে এই আইনের ধারা CAA 2003 তৈরি করা হয়েছে। 

১৮) প্রশ্ন:- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে বলছেন তিনি আলাদা কার্ড দেবেন, কারো কোন অসুবিধা হবে না!
উত্তর- এসব কথার কোনো মানে হয় না। অর্থহীন বেকার কথা। দেশ চলে আইনে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় নয়। পশ্চিমবঙ্গ একটা অঙ্গ রাজ্য মাত্র, দেশ নয়। ওনার কার্ডে  লক্ষী ভান্ডার পেলেও পেতে পারেন। কিন্তু ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড,প্যান কার্ড, আইটি ইন্ড্রাস্ট্রিতে ও সরকারী চাকরী, কেন্দ্রীয় অনুদানে চলা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, এরাজ্যের ছেলে মেয়েদের পিএসসি, ইউপিএসসি চাকরীর পরীক্ষা সেগুলোর কী হবে ? রাজ্যবাসী কী রাজ্যের বাইরে যাবেনা! সেখানে কী হবে ?
উনি যদি সত্যি রাজ্যের মানুষের ভালো চাইতেন তবে যে আইনগুলোর কারনে আজ মানুষ বিপদে পড়ছেন, যেমন CAA 1986, 2003, 2019 সেগুলোর বাতিল চাইতেন। আন্দোলন গড়ে তুলতেন। কিন্তু তিনি সেটা করছেন না।

১৯) প্রশ্ন:- রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দল কংগ্রেস সিপিআইএম তারা কী করছে ?
উঃ কংগ্রেস চুপ করে আছে। কারন CAA 2003 আইন বানাবার তারা বড় শরিক। সিপিআইএম সরাসরি গত 5/2/24 তারিখ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছে তারা একটা CAAচায়। অর্থাৎ NPR, NRC এবং আধার নং ব্লক করে কোটি কোটি মানুষকে বেনাগরিক করা হোক, তাদের আপত্তি নেই। তারপর তারা নিজে হাতে CAA ফর্ময়ে লিখবে আমরা বিদেশি, আমাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। অর্থাৎ আমার আপনার একজন সহ নাগরিক নিজের ডান হাতে গলায় ফাঁস দিয়ে বাঁ হাত দিয়ে ফাসির চাবি খুলে নেবে। 40/50/60/70/75 বছর ধরে বসবাসরত একজন মানুষ নিজেই বলবে সে বিদেশি।
তারপরও আছে সংবিধান ও নাগরিকত্ব আইনের লিখিত আশ্বাসে বাংলাদেশ থেকে আগত ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা কত? সরকারের লিখিত হিসাবে 55লাখ। আমি তার তিনগুণ অর্থাৎ 1 কোটি 65 লাখও যদি ধরি তাহলেও 1.5 শতাংশের কম। তাহলে কোন যুক্তিতে দেশের একশ শতাংশ অর্থাৎ 140কোটি মানুষের NPR NRC করা হচ্ছে ? সীতারাম ইয়েচুরি বা মঃ সেলিমের কোনো উত্তর নেই। এই প্রশ্নে তারা মার্কসের থেকেও কংগ্রেস বা বিজেপিকেই আদর্শ মেনে চলে।
বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম, তৃনমূল, লালুর দল, অখিলেশের দলের একটাই ভাবাদর্শ  "একসাথে করি কাজ,হারি-জিতি নাহি লাজ"।

২০) প্রশ্ন:- "NO NRC" MOVEMENT এর বক্তব্য কী ?
উত্তর:- দেশভাগের কারনে স্থানান্তরিত ছিন্নমূল হয়ে দেশের সংবিধান ও মূল নাগরিকত্ব আইন 1955র আহ্বানে যারা এদেশে বসবাস করছেন, তারা সংবিধান ও মূল নাগরিকত্ব আইন মোতাবেক এদেশের স্বাভাবিক নাগরিক (প্রয়োজনে সংবিধান ও মূল নাগরিকত্ব আইন দেখে নিন)।
বাদবাকি দেশে বসবাসরত 98.5শতাংশ মানুষেরও স্বাধীনতার 76বছর পর, নাগরিকত্ব যাচাই করে, নাগরিক ও বেনাগরিক বাছাই করার কোন আইনি ধারা সংবিধানে নেই। 5বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসা কোনো সরকারের অধিকার আসে কোথায় থেকে দেশবাসীর নাগরিকত্ব যাচাই করার ?
আমরা নাগরিক। তাই কোন ধরনের "নাগরিকত্ব চাই" বলে, আমরা দাবী করি না। কারন যে মুহূর্তে আপনি নিঃশর্ত বা অন্য কোন ধরনের নাগরিকত্ব চাইবেন ,সেই মুহূর্ত থেকে আপনি নিজে ঘোষনা করছেন আপনি বিদেশি। সরকার এটাই চায়। কেউ নাগরিকত্বের আবদন করবেনা জেনে সরকার আধার কার্ড ব্লক করে বেনাগরিক করছে। যেন মানুষ নাগরিকত্ব চাই বলে ফর্ম পূরন করে,নিজে ঘোষনা করে সে বিদেশি। সরকারের উদ্দেশ্য সাধন হবে। 
এই কারনে "NO NRC" MOVEMENT কোনো ধরনের CAAচায় না। ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করে।

২১) প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গবাসী তাহলে এখন কী করবে ?
উত্তর:- কার নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে? আমার আপনার। আমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলার। এলাকায় এলাকায়, মহল্লায় মহল্লায়, জেলায় জেলায় মানুষকে জড়ো করুন। CAA 1986, 2003, 2019 বাতিলের দাবী করে পোষ্টার মারুন। মিছিল করুন, পথসভা করুন, জনসভা করুন। জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিন। কলকাতায় সব জেলা থেকে এসে একসাথে আকাশ বাতাস বিদির্ণ করে চিৎকার করে বলতে হবে CAA1986, 2003, 2019 বাতিল কর। পশ্চিমবঙ্গেকে আসাম হতে দেব না।এটা আমার দেশ। পৃথিবীর কোন শক্তি তাহলে আপনার নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে না। ঐ দেখুন কৃষকরা লড়ছে,আপনিও এগিয়ে আসুন।

এই লেখা শেষ করতে করতে চারদিক থেকে খবর আসছে নতুন নতুন এলাকায় আধার নং ব্লক করার চিঠি যাচ্ছে। এই প্রশ্নে আমাদের বক্তব্য হয় চাপ দিতে হবে, নয় চাপ খেতে হবে। এর বিরুদ্ধে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদে সামিল হলে, কালই দেখবেন আধার নং ব্লক বন্ধ হয়ে গেছে।

Post a Comment

0 Comments