‛বহুমুখি বিপদ ও সংকটের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ জানার পরও যদি কোনও গোষ্ঠি বা ব্যাক্তি বা রাষ্ট্র চায় খনি হোক, তবে এটা জেনেই তাদের থাকতে হবে তারা পৃথিবী ধ্বংসের অন্যতম সচেতন কারিগর। নিশ্চিত তারা এই লোভের জন্যে গোটা বিশ্বকে তার ধ্বংসে কিছুটা কন্ট্রিবিউট করছেন।’- লিখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি-র এম.টেক পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের ছাত্র শুভ্র মল্লিক।
স্লোপয়সেনিং কি?
বিষয়টা এমন একটা বিষয় যার ফলাফল আমরা সহজে ধরতে পারি না।কিন্তু এর প্রভাব বরাবর থাকে সুদূর প্রসারী।একজন মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করলে রে রে পড়ে যায়।কারন আমরা দেখতে পাই হত্যা হচ্ছে বা হয়েছে।তাই প্রতিবাদ ও হয় জোরালো ভাবে। কিন্তু দৃশ্য গোচর নয় এমন কারনে যদি হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয় তাহলে ?সেটা আমরা যেহেতু দেখতে পাইনি না, বুঝতে পারি না তাই তার সম্পর্কে অবগত হবার পরিসর ও বিশেষ মেলে না।সেজন্যে এগুলো নিয়ে শোরগোল ও বিশেষ হয় না।সব ই চুপি চুপি গোপনে চলতে থাকে,প্রকাশ্যে আসে না।যেমন আর্সেনিক যুক্ত জল বহু মানুষ খায় অগত্যা।ভাবে জল তো পাচ্ছে।কিন্তু ২০-৩০ বছর এক টানা এই জল খাওয়ার পর এর প্রভাব দেখা যায়।একাধিক রোগের জন্ম দাতা ও একাধিক মৃত্যুর কারিগর হয়ে ওঠে এই আর্সেনিক।কিন্তু এ নিয়ে প্রতিবাদ শোরগোল বিশেষ হয় না।কারন এখানে প্রকাশ্যে হত্যা করার মতন সবকিছু সাফ সাফ বোঝার পরিসর নেই।তাই এটাকে নিয়ে আলোড়ন ও বিশেষ পড়ে না।কিন্তু ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করলে এর পরিমান চাক্ষুস দেখা ক্ষতিগুলোর তুলনায় শত সহস্র গুন বেশি।
ভারতে কৃষি বিপ্লবের নাম করে ইতিমধ্যেই রাশায়নিক সারের ব্যাপক প্রয়োগ কয়েক দশক ধরে রমরমিয়ে চলছে।এর ক্ষতিকর ফল স্বরুপ আমরা কি দেখি?কৃষি বেল্ট গুলোতে কৃষকদের মধ্যে বহু যেয়গায় ক্যান্সার আক্রান্ত হবার প্রবনতা বেড়েছে অনেকগুন।শুধু কৃষক নয় রাসায়নিক সারে পুষ্ট ফসল যারাই খেয়েছে নিয়মিত তাদের মধ্যে ও এর প্রভাব পড়েছে।ঘরে ঘরে এখন সুগার,প্রেসার,হার্টের রুগি ভর্তি।আমরা প্রকাশ্য দিবালোকে করা একটা খুন দেখতে পাই কিন্তু এই মারাত্মক খুনিদের আমরা ধরতে ব্যার্থ হচ্ছি যারা বছরের পর বছর আমাদের শেষ করছে তিলে তিলে।এক সময় তো ভারতীয় চাষিরা জৈব্য সার ই ব্যাবহার করতো। কিন্তু এই জৈব্য সার বন্ধ হলো কেন?কারন কর্পোরেট স্বার্থ।কর্পোরেট স্বার্থের জন্যে কোটি কোটি ভারতীয়দের জীবন এভাবেই বিপন্ন করেছে অতীতে রাষ্ট্র।এরকম বহু নিদর্শন আমরা দেখতে পাই।
দেউচা কয়লাখনি আর এক স্লোপয়সেনিং এর ব্লু প্রিন্ট
দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি আদতে আর এক স্লো পয়সেনিংয়ের ব্লু প্রিন্ট।বর্তমানে নতুন করে কয়লার খনি চার ধরনের ভাবি বিপদকে সুনিশ্চিত করবে।
১) কয়লার অস্তিত্বের সংকট:- কয়লা খুব ভালো জ্বালানি।ভূ প্রাকৃতিক আলোড়নের ফলে হাজার হাজার বছর ধরে ভূ পৃষ্ঠের চাপ ও তাপে এই কয়লা প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি হয়েছে।এখন ও তৈরি হচ্ছে।তবে কয়লা তৈরির তুলনায় এখন কয়লা উত্তোলনের হার মাত্রাতিরিক্ত ভাবেই বেশি।ফলে কয়লার পরিমান বিশ্বে সীমিত হচ্ছে। প্রায় ১৫০ বছর বিশ্বে কয়লার অস্তিত্ব থাকবে কয়লা উত্তোলনের বর্তমান হার অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে কয়লার পরিমান প্রায় ১২০ বিলিয়ন টন।আগামী ১৫০ বছরের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে মানুষের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে গিয়ে।তাই আগামী দিনে কয়লার যে ব্যাপক নিশ্চিত সংকট আসতে চলছে ,সেখানে সব জেনেও সম্পদ লোটার মানুষিকতার থেকে নতুন কয়লা খনি নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন ভবিষ্যৎ সংকট কেই তরান্বিত করবে এ বিষয় সন্দেহ নেই।আর কয়লার মতন উন্নতমানের প্রকৃতিক খনিজ সম্পদের বিকল্প ও এখন ও তৈরি হয়নি।কিন্তু কয়লার উপর নির্ভরতা কমানোর উপায় তৈরি হয়েছে।এক ই ভাবে নিউক্লিয়ার পাওয়ারের থেকেও নির্ভরতা কমাচ্ছে উন্নত দেশগুলো কয়লার সাথে সাথে।শক্তির বড় উৎস নিউক্লিয়ার এবং তার ঠিক পরেই আছে কয়লা।কিন্তু দুটোই বিশ্বে সীমিত এবং সেজন্যেই এগুলো পৃথিবীতে কমতে থাকার সাথে সাথেই বহুমূল্য হয়ে উঠছে।এর মধ্যে তুলনায় কয়লা অনেক সহজলোভ্য একথা ঠিক কিন্তু কয়লা ও সীমিত এটাও অস্বীকার করার কোন ও যেয়গা নেই। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ছাড়াও কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট ই বেশি পরিমান শক্তির চাহিদা মেটায় বিশ্বে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট খুব শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও এর একাধিক অত্যন্ত ক্ষমতাশালী বিপদের দিক মাথায় রেখে বহু ক্ষেত্রে ই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করতে হয়েছে।কোল এক্ষেত্রে অনেক গ্রহনযোগ্যতা পয়েছিলো। কিন্তু পরিবেশ দূষনের সামগ্রিক অবস্থা বিচার করে এবং কোল স্টোরেজের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে এখন বিকল্পের কথাই ভাবা দরকার।খুব প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র বাদ দিলে কয়লার যথেচ্ছ ব্যাবহার ও উত্তোলনে লাগাম টানা দরকার।ল্যাবোটারিতেও এখন ও প্রকৃতিক কয়লার সম মানের ও সমমূল্যের কয়লা তৈরি করা যায়নি। তাই যেখানে কয়লা নির্ভরতা কমিয়ে বিশ্বের নানা দেশ বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ভাবছে সেখানে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ কয়লার পিছোনে দৌড়াচ্ছে।আর এই আচরনের মাসুল দিতে হবে ভবিষ্যৎকে।এর চরম ফলাফল হবে- এক ,বিকল্প টেকনোলজির বিকাশ হবে না।দুই, উল্টো দিকে কয়লার ব্যাপক সংকট ঘনীভূত হলে কয়লা তখন বেশি মূল্য দিয়ে অন্য যেয়গা থেকে আমদানি করতে হবে জনগনের ট্যাক্সের টাকা বর্বাদ করে।এর ফলে বিভিন্ন সেক্টার বিপর্যস্ত হতে পারে।একটা শক্তি সংকট ও সৃষ্টি হতে পারে।এদিক থেকে আমেরিকার মতন উন্নত পুঁজির দেশগুলো বুদ্ধিমত্তার সাথে নিজেদের দেশে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট ই শুধু বন্ধ করেনি তাই নয় এর সাথে সাথে বহু তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্ধ করছে।নিজেদের দেশের খনিজ সম্পদ ও তারা উত্তোলন করছে না। বরং অন্যের দেশের খনিজ সম্পদ দখল করে দখলদারির রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করছে।যদিও এই আচরন ও সমর্থনযোগ্য নয়।তবু ও এটা বিচক্ষণতার পরিচয় নিজের দেশের খনিজ সম্পদের সংরক্ষন করতে সর্বাধিক যত্নবান হওয়া।ভারত আমেরিকার মতন অন্য দেশের খনিজ সম্পদে দখলদারির চেষ্টা কখন ও করেনি বা করে না তা নয়।কিন্তু আমেরিকার মতন দেশের সমতুল্য পর্যায়ে ভারত যেতে পারে নি।আবার প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ সংরক্ষণ করে আমেরিকা যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছে সে বিষয়ে ভারত যে চরম মূর্খামির পরিচয় দিচ্ছে প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ অধিগ্রহণ করতে আগ্রাসী নির্বোধের ভূমিকা পালন করে এ বিষয় কোন ও সন্দেহ নেই।তার ই ফল হলো দেউচায় খনি নির্মানে রাষ্ট্রের আক্রমনাত্মক ভূমিকা গ্রহণ।আর এই প্রোজেক্ট সফল হলে পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের জনগনকে ই ভবিষ্যৎ এ এর মাসুল চোকাতে হবে।কারন কয়লা প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্ট অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী খনিজ সম্পদ।তাই এই খনিজ ভান্ডার যেখানে সীমিত এটা জেনে এই খনিজ সম্পদ কে সহজে ধ্বংসের অপচেষ্টা করা কালিদাসের মতন নির্বোধ মস্তিষ্কের ফলঃসূত্রি ছাড়া কিছু নয়।
২) পরিবেশের সংকট:- আমরা জানি শিল্পের নামে এক সময় ভূপাল গ্যাস দূর্ঘটনাও হয়।অপরাধী মালিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত করে।এই ঘটনায় বহু সাধারণ শ্রমিকের প্রান যায়।বহু পরিবার উজাড় হয়ে যায়।তার দায়ভার সেদিন কেউ নিতে এগিয়ে আসেনি। কোন ও শিল্পের প্রারম্ভে সরকারি দলগুলো বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও জনগন প্রতাড়িত হলে সবার আগে জনগনের পাশ থেকে এরাই পালায়।ভূপাল গ্যাস দূর্ঘটনা এর ই সবচেয়ে বড় প্রমান।এই ইতিহাস আমরা ভুলতে পারি না কোন ও ভারি শিল্পোদ্যোগ গড়ার প্রস্তাব সামনে এলে। রেভিনিউ আদায়,কর্মসংস্থানের প্রলভোন এলেও এরা পরিবেশ রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে ব্যার্থ হয়।তাও যেখানে পরিবেশ দূষণ হবার সম্ভাবনা প্রবল।কয়লা খনি থেকে নির্গত কার্বন,সালফার পরিবেশ দূষনের অন্যতম কারিগর।যার প্রভাবে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। (https://lm.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fwww.aninews.in%2Fnews%2Fnational%2Fgeneral-news%2Fcoal-power-plant-pollution-in-india-could-lead-to-additional-premature-deaths-in-6-cities-study20210930203020&h=AT3ZjSkJCJ0G3AZXsJI_j5vdrxW7lC0WV789X2kbjIxEGrJaaqxThG5VCwIVb0uOvzoO7k_tFcqjgbnzJzu-NAiS1DNRYomsgB6FYXgZJ72ykRjT5G5Kw9szVasqYeSiFjj0)
আর এই মৃত্যু আসে স্লো পয়সেনের মতন।মানুষের দ্রুত মৃত্যুর জন্যে প্রয়োজনীয় উপসর্গ গুলোর জন্ম দেওয়া এবং সেগুলোর ক্ষতিকারক প্রভাব বাড়িয়ে দেওয়া।যার ফলে অনেকেই ধরতে পারবে না কখন তার মৃত্যু তার কাছাকাছি চলে এলো এবং কেন এলো?
শুধু এই নয় কয়লা খনি হলে কয়লার শূন্যস্থান ভরাট করতে ব্যাবহৃত হবে বালি।আর এই ব্যাপক বালির জোগান আসবে নদী উপকূল থেকে।বাড়বে বালি মাফিয়াদের রাজত্ব।আর এর সাথে ধ্বংস হবে নদী উপকূল।বহু পরিবারকে নদী ভাঙ্গনের কিংবা বন্যা, ক্ষরার মতন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সামনে দাঁড়াতে হবে।তার দায় ও সরকার নেবে না।বড়জোর ভোট সামনে থাকলে কিছু ক্ষতিপূরণ সরকার দিতে পারে।তাও সরকার থেকে জনসাধারণের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা আস্তে আস্তে ই মাঝপথে অনেক ঠিকাদাররা লুট করে নেবে সে অর্থ।
৩) আর্থিক সংকট:- কয়লার বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করে দেউচা থেকে যত কয়লা উৎপাদন হবে এবং বিক্রি করে তার থেকে যত লাভ হবে তাতে জনগনের কি লাভ হবে?এটা একটা বড় প্রশ্ন।জনগন পাবে দূষন,জনগন পাবে ট্যাক্সের বোঝা,জনগন পাবে স্লোপয়সেনে মৃত্যুর সরকারি লাইসেন্স।আর কয়লার সংকট চরম আকার নিলে সেদিন সবার আগে যদি কারো উপর কোপ পড়ে তো জনগনের উপরেই আগে এসে পড়বে সে কোপ।এদিকে বিকল্প তৈরি না হতে দেওয়ায় চরম খেসারত জনগনকেই দিতে হবে।আবার ও দেখবো আমফানের মতন ঝড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিহীন শহরে টয়লেট করে টয়লেট পরিষ্কারের জলটুকু ও পাবে না বিদ্যুৎ না থাকায় শহুরে জনতা।আবার সিন্ডিকেট রাজের হাত ধরে নষ্ট হওয়া বাস্তুতন্ত্রের ফলে জলশয় ও থাকবে না।থাকলেও তা ব্যাবহার যোগ্য থাকবে না।এর ফল ভুগতে হবে সাধারণ জনগনকে ই।আর বিপদের দিনেই জনগন দুষবে এই বিপদ রচনার ইতিহাস কে কিন্তু তখন কিছু করার থাকবে না।
৪) কয়লা খনি নিজেই সংকটের স্থপতিকার :-
দেউচা কয়লাখনি নির্মান নিয়ে দুটি বিষয় খুব সামনে আসছে।ওপেন কাস্ট খনি না আন্ডারগ্রাউন্ড খনি।অনেকেই বলছে খনি আন্ডার গ্রাউন্ড করার কথা। কিন্তু এটা প্রথমেই ই বোঝা দরকার কয়লার খনি নিজেই একটা বড় সংকট সৃষ্টির উৎস।আন্ডার গ্রাউন্ড হোক বা ওপেন কাস্ট কয়লা খনি নির্মানের অর্থ ই হলো সংকট সৃষ্টি করা।তাই দেউচা কয়লাখনি নিয়ে ওপেন কাস্ট বা আন্ডারগ্রাউন্ড যাই হোক না কেন এটা বোঝা দরকার উভয় ই মানব সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর।এর পরিমাণ দমন করা বা এড়ানো কোনো ভাবেই সম্ভব নয় কয়লা খনি বন্ধ ছাড়া।
ক) ওপেন কাস্ট খনির বিপদ:- ওপেন কাস্ট হলে জনবসতি নিশ্চিত উচ্ছেদ করতে হবে।শুধু এখানেই শেষ নয় সমস্যা।ওপেন কাস্ট হলে ব্যাপক দূষন ছড়াবে।আর এই দূষন মৃত্যুর হার বাড়িয়ে দেবে।খনির আশেপাশের জনবসতি তো এর দ্বারা প্রভাবিত হবেই।সাথে এই খনির কয়লা যেখানেই ব্যাবহৃত হবে সেখানেই দূষন হবে।কার্বন নির্গমন বাড়বে।এতে পরিবেশ দূষনের প্রভাব বাড়বে।এছাড়া কয়লা উত্তোলন স্থলগুলো বা তার আশেপাশে আগুন লাগার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।এর ফলে খনি এলাকার আশেপাশের জনবসতি ও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
খ) আন্ডার গ্রাউন্ড খনির বিপদ:- এক রাজনৈতিক দল তো দেউচা প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই দাবী তুলেছে আন্ডারগ্রাউন্ড খনির।তারা কতটা সচেতন আর কতটা অসচেতন ভাবে এই দাবী তুলেছেন তা আমার জানা নেই।তবে এটা বাস্তব আন্ডারগ্রাউন্ড কয়লার খনি আর ও বড় বিপদের কারন হয়।প্রথমত ,ধ্বস নামা ও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এর ফলে। দ্বিতীয়ত, খনি শ্রমিকদের বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অ্যাক্সিডেন্টাল মৃত্যুর পরিমান বেশি থাকে এক্ষেত্রে। তৃতীয়ত,আন্ডার গ্রাউন্ডের শুন্য স্থান ভরাট করতে প্রচুর বালি প্রয়োজন হয়।আর এই বালি নদী উপকূল থেকেই সংগ্রহ করা হয়।সেখানে ও এর ফলে ভূমিক্ষয় ও ধ্বসের সম্ভাবনা বাড়বে। চতুর্থত,খনিতে আগুন লাগার বিপদ এক্ষেত্রে ও থেকে যায়।পঞ্চমত ,খনি থেকে উৎপাদিত কার্বন সামগ্রিক ভাবে পরিবেশ দূষনের প্রভাব বাড়ায়।এর ফলে মৃত্যুর হার বাড়ে। মৃত্যুর উপসর্গগুলো বাড়ে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিমাণ ও বৃদ্ধি পায়।
বহুমুখি বিপদ ও সংকটের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ জানার পরও যদি কোনও গোষ্ঠি বা ব্যাক্তি বা রাষ্ট্র চায় খনি হোক, তার পক্ষে তারা থাকতেই পারে। তবে এটা জেনেই তাদের থাকতে হবে তারা পৃথিবী ধ্বংসের অন্যতম সচেতন কারিগর। যারা লোভাতুর হয়ে কয়লাখনির সাময়িক লাভ চাইছেন। নিশ্চিত তারা এই লোভের জন্যে গোটা বিশ্বকে তার ধ্বংসে কিছুটা কন্ট্রিবিউট করছেন।
____________________
2 Comments
শেষে লোভাতুর হয়ে কিছু মানুষের এই রকম পৃথিবী ও মানব সমাজ ধ্বংসে আমল দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকলেও, একটা খুব জরুরী বিষয় এই ক্ষেত্রে, যে পুঁজিবাদী ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় এর কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। জানিনা সচেতন ভাবে না অসচেতন ভাবে লেখক সে কথা এড়িয়ে গেছেন, কিন্তু শ্রমিক শ্রেণীর হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা না আসা পর্যন্ত শুধুমাত্র কাকুতি মিনতি করে বা সচেতনতামুলক কর্মসূচিতে ব্যক্তিগতভাবে আবদ্ধ থাকলেই এর কোনরকম ফয়সলা হওয়ার নয়। আজ কয়লা খনি বন্ধ করবার দাবিতে নামা আন্দোলনকে পুঁজিবাদ বিরোধী শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে না পারলে কোনো লাভ হবে না।
ReplyDeleteRemain management of|in charge of|in command of} your gameplay by using Mr Green’s Predictive Tool, set your self gaming limits, take a break or self-exclude your self. For more data on our Green Gaming instruments please click right here. If you might be} worried about your playing or affected by someone else's playing, please contact GamblingTherapy or GamblersAnonymous for assist. Welcome to Mr Green, the fairest of online on line casino operators. We are all about leisure and 코인카지노 having enjoyable in a protected and accountable gaming environment.
ReplyDelete