দাওয়াই, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও প্রসাধনী ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নয়া বিল ২০২২

      
দাওয়াই, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও প্রসাধনী ক্ষেত্র সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া বিল New Drugs, Medical Devices and Cosmetics Bill, 2022 নিয়ে সোদপুর জনস্বাস্থ্য চর্চা'র পক্ষ থেকে প্রচারিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যটি আমরা পক্ষে বিপক্ষে পাঠকদের মতামত ও আলোচনার জন্য প্রকাশ করলাম। - Mehanati. in 

বিশল্যকরণী

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, আজ, ২১ অগস্ট ২০২২, New Drugs, Medical Devices and Cosmetics Bill, 2022-এর খসড়া নিয়ে পরামর্শ/মতামত/আপত্তি জানানোর শেষ দিন। সংসদে পাশ হলে এটি ঔপনিবেশিক Drugs & Cosmetics Act, 1940-এর বদলে লাগু হবে। নাম থেকেই স্পষ্ট দেশের দাওয়াই, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও প্রসাধনী ক্ষেত্র এই আইনের আওতায় আসবে। 

প্রস্তাবিত বিল সরকার আর দাওয়াইওয়ালাদের সম্পর্ক কতটা নিবিড় করল, দেখে নেওয়া যাক:

ক) প্রস্তাবিত বিলের ৫৬ (ই) ধারায় ৪৩টি উৎপাদনগত ত্রুটির ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। আইনের চতুর্থ তফশিল-এ বিশেষ ত্রুটিগুলি জায়গা পেয়েছে। কারাবাসের পরিমাণ দুই থেকে কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে। ৭১ নম্বর ধারায় টাকার বিনিময়ে হাজতবাস এড়ানোর বন্দোবস্ত রয়েছে।

খ) দেশে ওষুধের প্রস্তুতি, প্রভাব ও প্রয়োগের নিয়মাবলী নির্ধারণকারী আয়োগ, Indian Pharmacopoeia Commission-এর মান অনুযায়ী একটি ওষুধে বিজ্ঞাপিত মাত্রার উপাদানের ৯০-১১০ শতাংশ থাকতেই হবে।কিন্তু, নতুন আইনে বিজ্ঞাপিত পরিমাণের মাত্র ৭০ শতাংশ (চতুর্থ তফশিলের বি(৪) দ্রষ্টব্য) থাকলেই কেবল জরিমানা দিয়ে উৎপাদকের রেহাই মিলবে।

গ) আইনের ৫৮ নম্বর ধারায় চতুর্থ তফশিলের ত্রুটির তালিকা পরিমার্জনের অধিকার সরকারের থাকবে। অতএব, দাওয়াইওয়ালাদের বাঁচাতে কেবল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুবিধেমতো ত্রুটির তালিকা বাড়িয়ে নিলেই মিত্রশক্তির স্বার্থ রক্ষা করা যাবে।

ঘ) ভারী ধাতু, বিজাতীয় বস্তুকণাও রয়েছে ৪৩টি ত্রুটির তালিকায়। অর্থাৎ, ট্যাবলেটে পারদ, কাঁকর, কাচের টুকরো ইত্যাদি মিললেও কেবল অর্থদণ্ডেই ছাড় পাবে দাওয়াইওয়ালারা।

ঔপনিবেশিক আইনের (Drugs & Cosmetics Act, 1940) বিলুপ্তির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে আমাদের প্রশ্ন:

১) জীবনদায়ী জিনিসের ক্ষেত্রে ত্রুটির গুরুত্ব এ ভাবে কমানো/বাড়ানো কি আদৌ বিজ্ঞানসম্মত?
 
২) দাওয়াই আয়োগের নির্ধারিত মানের বিষয়টিকে লঘু করে দিলে রোগ সারতে দেরি হওয়া ছাড়াও ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কি থাকছে না?

৩) ওষুধে ভেজাল মিশিয়ে কেবল আর্থিক জরিমানায় রেহাই মিললে আখেরে লাভ কাদের?

   দাওয়াই সংস্থাগুলিকে আড়ালকারী জনস্বাস্থ্যের পরিপন্থী এই বিল রুখতে খাতায়-কলমে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি রাস্তায় নামাও জরুরি। নইলে, সকলকে আরও এক বার সরকারি বুলডোজারে চাপা পড়তে হবে।

প্রস্তাবিত বিলের লিঙ্ক:  https://main.mohfw.gov.in/newshighlights-97        

Post a Comment

1 Comments

  1. সরাসরি ওষুধ সংস্থাগুলির পক্ষে এই বিল। জনগণের বিরুদ্ধে, কর্পোরেটের মুনাফা অর্জনের জন্য এই বিল

    ReplyDelete
Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)