গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মানুষের স্বাধীকারের পক্ষে গত ১৭ই এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী আন্দোলন বর্তমানে আমেরিকার শতাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে সে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। আমেরিকার অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একত্রে আইভি লীগ বলা হয়। কলম্বিয়াতে আন্দোলন শুরু হবার পর অন্যান্য আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয় যেমন হার্ভাড, ইয়েল, প্রিন্সটন, স্ট্যানফোর্ড ইত্যাদিতেও আন্দোলন শুরু হয়।
আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি
আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে নানা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম চালু আছে। যেমন আমেরিকার কলম্বিয়া, ইয়েল, স্ট্যানফোর্ড এমআইটি সহ মোট ৩৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইজরায়েলের তেলহাবিব, হিব্রু ও বেনগুরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১৩টির উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে। এই চুক্তির অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্য ছাত্র-শিক্ষক আদান-প্রদান, একত্রে বিভিন্ন গবেষণা চালানো, ইত্যাদি সম্পাদিত হয়। এর বাইরেও ইজরায়েলের কাছ থেকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তহবিল সংগ্রহ করে। উল্লেখ্য যে এই গবেষণাগুলির মধ্যে যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধ প্রযুক্তির গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত। আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে থাকা সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অর্থিক লেন-দেন রাখা যাবে না। গুগল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানি যারা ইসরায়েলকে যুদ্ধাস্ত্র ও প্রযুক্তি দিয়ে গাজা নিধন যজ্ঞে সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবস্থান নেবার দাবি জানিয়েছে ছাত্ররা। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে থাকা কিছু পোস্টার তাদের বক্তব্যকে খুব পরিষ্কার করে তুলে ধরেছে। যেমন- NO DOLLAR FOR GENOCIDE , ISRAEL BOMBS STANFORD PROFITS, DIVEST DON’T ARREST.
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের উৎস
এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিত্তশালী প্রাক্তনীদের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে চলে। একে এনডাওমেন্ট ফান্ড বলে। সাধারণত অলাভজনক সংস্থাকে দেওয়া এইসব দান করমুক্ত হয়। ইসরায়েল থেকেও আসে বড়সড় এনডাওমেন্ট। এছাড়াও এখানে গবেষণা চালানোর জন্য ফেডারেল সরকারগুলিও অনুদান দিয়ে থাকে। এতদসত্তেও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেও উচ্চ হারে ফিজ নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যে বিপুল পরিমান এনডাওমেন্ট ফান্ড তা ব্যবহারের নানান নির্দিশিকা আছে। এক কথায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি এক একটি কর্পোরেট হাউসের মতো চলে। এনডাওমেন্ট ফান্ড থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়, যে বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত এবং ভালো রিটার্ন দিতে সক্ষম। বিষয়গুলিকে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পেশাদার লোক নিয়োগ করে। আইভি লীগের অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সাধারণত প্রতিরক্ষাখাতে বিনিয়োগ রাখে। যদিও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই খুব একটা খোলসা করে না, তথাপি এর কিছু পরোক্ষ প্রমাণ থেকেই যায়।
ছাত্র আন্দোলনে অধ্যাপকদের সংহতি
অনেক অধ্যাপক ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে তাদের পাশে এসে দাঁডিয়েছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররা তাদের দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে তাবু টাঙিয়ে বসে পড়ে। অন্যত্রও ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অনুসরণ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গাজার গণহত্যার সঙ্গে সংযুক্ত মনে করছে, যা তারা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলন ভাঙার জন্য পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে। পুলিশ অত্যন্ত নির্মম ভাবে ছাত্র-ছাত্রী এবং অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করছে। জর্জিয়ার এমরি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির এক অধ্যাপক এক ছাত্রের গ্রেপ্তারে মৌখিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে গেলে পুলিশ তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। একজন মহিলা অধ্যাপককে গ্রেফতারের সময় তাকে মাটিতে শুইয়ে দেওয়া হয়। এই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এখনও পর্যন্ত আমেরিকা জুড়ে ছাত্র-শিক্ষক মিলিয়ে প্রায় দু হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের শংসাপত্র বাতিল করা হতে পারে। বের করে দেওয়া হতে পারে আবাসন থেকে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। এতে একজন ছাত্রীর প্রতিক্রিয়া—গাজার শিশুদের কষ্টের তুলনায় এটা কিছুই নয়। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বেতন এত বেশি যে অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়ার জন্য ব্যাঙ্কলোন নিতে বাধ্য হয়। এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রী না পাওয়ার ও চাকরী না পাওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে যেসব ছেলে-মেয়ে তাদের ছবিসহ বিবরণী শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারের মত চিপকে দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা ব্যাক্তিগত স্তরে সামাজিক হেনস্থার শিকার হয়। ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হঠাৎ মুখোশ পরা একদল যুবক আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের আক্রমন করে। এই ঘটনা স্পষ্ট করে দেয় যে ছাত্রদের মধ্যে থেকেই প্রতিপক্ষ তৈরি করে আন্দোলনের শক্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আমেরিকার গণমাধ্যমের ন্যারেটিভ আন্দোলনরত ছাত্রদের ‘ফিলিস্তিনপন্থী’ হিসাবে এবং বিপরীতে একদল ছাত্রকে ’ইসরায়েলপন্থী’ হিসাবে বর্ণনা করছে। এই ধরনের বর্ণনা ছাত্রদের সামগ্রিক যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে সামনে আসতে বাধা দেয়। গণমাধ্যমও কর্পোরেটের স্বার্থেই কাজ করছে। এই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রত্যেকটিরই নিজস্ব পুলিশ থাকে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরও আছে। কিন্তু কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নিউ ইয়র্ক পুলিশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে আনেন ছাত্রদের অবস্থান তুলে দেবার জন্য। আন্দোলন যেভাবে ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে তাতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত চিন্তার পরিসর, বাক স্বাধীনতার অধিকার—সব কিছুই লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ এই আমেরিকার সরকার সর্বদা গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার পক্ষে থাকার কথা প্রচার করে।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীরা যে শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায় থেকে আসছে তা নয় একেবারেই। এদের মধ্যে ইহুদি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীরাও আছে। আন্দোলনের ফলে ক্যাম্পাসে ইহুদি ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন। এই প্রশ্নের উত্তরে আন্দোলনরত একজন ছাত্রের জবাব ছিল—আমাদের দাবির সঙ্গে ইহুদি বিষয়টার কোনও যোগ নেই। তথাপি এই আন্দোলনকে ইহুদি বিরোধী আন্দোলন বলা হচ্ছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইহুদি বিলিয়নিয়ার দাতা তার অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলন ইহুদি-বিরোধী এই অভিযোগ তুলে। বিষয়টা এমন যেন—গাজার গণহত্যা অনুমোদনযোগ্য, কিন্তু ইহুদি বিরোধীতা নয়।
নিম্নকক্ষে পাস হল ইহুদি বিদ্বেষ বিল
৩রা মে ২০২৪, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন চলাকালীনই আমেরিকান কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষের প্রতিনিধি পরিষদে পাস হল ইহুদি-বিদ্বেষ বিল। বিলের পক্ষে ৩২০ এবং বিপক্ষে ৯১টি ভোট পড়ে। ইসরায়েলের বিরোধিতাও এবার থেকে ইহুদি-বিদ্বেষ হিসাবেই গৃহীত হবে। বিল সেনেটের উচ্চ কক্ষে পাস হলে আইনে পরিণত হবে। তাহলে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে পারবে না তাদের ফেডারেল সরকার অনুদান দেওয়া বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ছাত্রদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হতে পারে কড়া অবস্থান। গত ছ-সাত মাস ধরে সব ধর্মের সাধারণ মানুষ গাজার গণহত্যার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। কোনঠাসা বাইডেন প্রশাসন ২ শতাংশ ইহুদি সমর্থন পেতে এবং আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করতে আন্দোলনের অবমূল্যায়ন করে নতুন করে একটি অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করছে।
ইহুদি প্রাধান্যের কারণ
আমেরিকার জনগনের ২ শতাংশ ইহুদি। ঐতিহাসিকভাবেই আমেরিকার এই ইহুদি জনগোষ্ঠীর ছোট একটি অংশের হাতে আছে বিপুল অর্থ। যে প্ল্যাটফর্ম ইকোনমি এখন দুনিয়া জুড়ে রাজত্ব করছে তার বেশিরভাগেরই মালিক ইহুদি। ছাত্রদের দাবির মধ্যে রয়েছে গুগল, অ্যামাজন ও মাইক্রোসফ্টের মতো কোম্পানির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবস্থান নিতে হবে। এই তিনটি কোম্পানির মালিকই ইহুদি। এছাড়াও মার্কিনের সেনেটের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে আছেন ইহুদি প্রতিনিধিরা। যেমন—সেক্রেটারি অব স্টেট পদে আছেন অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন, সিআইএ এর উপ-পরিচালক ডেভিড কোহেন, অফিস অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি পলিসির ডিরেক্টর এরিক ল্যান্ডার, ন্যাশানাল সিকিউরিটি এজেন্সি সাইবার সিকিউরিটি ডিরেক্টর অ্যান নিউ বার্গার ইত্যাদি। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল তৈরিই হয়েছিল প্রায় মার্কিন সামরিক ঘাটি হিসাবে। মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতির উপর এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর দখলদারি রাখতে গেলে ইসরায়েলের আধিপত্য বজায় রাখা জরুরি। ফিলিস্তিনের জনগণের উপর ইসরায়েলের সাত-আট দশকের দখলদারির নৈতিক পরাজয় ঘটে গেছে গত ছমাসের গাজার যুদ্ধে। সেই সঙ্গে পরাজিত আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের সরকারগুলোও, যারা ইসরায়েলকে সহযোগিতা করে গেছে। আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে থাকা এই ইহুদিরা মোট ইহুদি জনসংখ্যার খুব ছোট একটি অংশ। তারা নিজেদের পুঁজি বৃদ্ধির অসমীকরণটিকে বাঁচিয়ে রাখতে যা কিছু তাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাকেই ইহুদি-বিরোধী বলে চিহ্নিত করতে চাইছে। পৃথিবীর নানাপ্রান্তে থাকা বহু সাধারণ ইহুদি মানুষ যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে সামিল হয়েছেন—WAR NOT IN MY NAME—লেখা পোস্টার নিয়ে।
প্রত্যাশা
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এর আগেও আন্দোলনে নেমেছে। ১৯৬৮ তে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতায় একই রকম আন্দোলন হয়েছিল। তখনও আন্দোলনরত ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দীয় ভবনটির দখল নিয়ে নেয়। সেই সময় আন্দোলন ক্রমে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়। কিন্তু এবারের আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি অনেক বেশি সুনির্দিষ্ট। প্রকৃতপক্ষে তারা এই যুদ্ধের পিছনে থাকা কর্পোরেট পুঁজিকে আঘাত করতে চাইছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় যদি ইসরায়েলকে গাজার গণহত্যায় সহযোগিতা করে, তবে ছাত্রদের নীরব থাকার অর্থ সেই সহযোগিতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়া। ধড়-পাকড়, ভীতি প্রদর্শন, বল-প্রয়োগ সব কিছু সত্ত্বেও এই ছাত্র আন্দোলন আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্ত সহ আমেরিকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনরত ছাত্রদের ইতিমধ্যেই বহিষ্কার করতে শুরু করেছে। তারপরে ছাত্ররা আন্দোলন চালিয়ে যাবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের গণমাধ্যম এই আন্দোলন নিয়ে গভীরভাবে চর্চা করছে। সেখানকার গণমাধ্যম থেকেই জানতে পারলাম সেদেশের ছাত্র-ছাত্রীরাও এর সমর্থনে পথে নামার কথা ভাবছেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গাজার মানুষের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের সমর্থনে পশ্চিমা দুনিয়ার ছাত্রদের আন্দোলনকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন, সেইসঙ্গেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আরব দুনিয়ার ছাত্রদের নীরবতা দেখে।
গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনের মানুষের স্বাধীনতার জন্য যতবেশি সম্ভব আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করাই সাধারণ মানুষের একমাত্র হাতিয়ার। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মশাল জ্বেলে এই যাত্রাটা শুরু করে দিয়েছে। প্রশাসনের দমন-পীড়ন উপেক্ষা করেই তারা এগোচ্ছে। ফিলিস্তিনের মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে তাদের এই যাত্রা লক্ষ্য অর্জনে সফল হোক। কর্পোরেট পুঁজির স্বার্থ রক্ষাকারি এই যুদ্ধ চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
0 Comments