ক্যায়াহুয়া নিয়ে নিভৃত সংলাপ | অশোক মুখোপাধ্যায়

courtesy @whackonondo

ক্যায়াহুয়া নিয়ে নিভৃত সংলাপ 

অশোক মুখোপাধ্যায় 


ইন্দ্রমোহন।।

ওহে ওহে বঙ্গমোহন এস হেথায় বস,

নাগরিকত্ব দেব তোমায় একটুখানি রোসো।

ওই যে তোমার হাতের মোবাইল, খুঁজলে ওতেই পাবে,

নাগরিকের দরখাস্ত আঙুল টিপে যাবে।

ক্যা নামের এক জানলা তুমি যাচ্ছে খুলে দেখ,

হোথায় তোমার নামটি লেখ, বানান সঠিক রেখ।

যেই না তোমার নামটি যাবে দিল্লি পানে ধেয়ে—

শাহানশাহ টিক মারবেন ফাইলটি হাতে পেয়ে!

কদিন বাদেই তোমার দোরে পিয়ন আসবে যেই,

“নাগরিকের কার্ডটি লিবেন”, বলবে সে হেসেই।।   

 

বঙ্গমোহন।।

কিন্তু কাকা, এই যে হেথায়, চাইছে কতক ডকু,

বলছে তুমি স্ক্যান করিয়া ঢুকাইয়া দাও বকু!

চেক করাতে সময় লাগে, ঝটপটিও নাক’

আপাতত অন্য সকল কার্ডকে শিকেয় রাখ।

কদিন তুমি দোকান বাজার বন্ধ করে দিও,

ব্লক অফিসে ডাকতে পারে, তৈরি হয়ে নিও।

ব্যাঙ্কে গেলে গ্যাস চাইলে একটু বাধা পাবে,

অবশ্য তার ক মাস পরেই নাগরিকতা পাবে!

 

ইন্দ্রমোহন।।

আরে আরে, দেখতে দেখতে কটাই বা আর মাস,

ধৈর্য ধর শাহানশাহ দিয়েছেন আশ্বাস!   

এর ওর থেকে চেয়ে চিনতে ভিক্ষে করে খেও,

ভারত-নাগর হবে কেমন লেহ্য এবং পেয়।

নগর প্রজা চাইলে হতে, মানতে হবেই ভাই—

এখন তোমার স্ট্যাটাস কিছু দেশের খাতায় নাই!

কিন্তু এবার আমরা যারা পদ্মরাজার দলে,

নগর প্রজা হবই হব যাক না জীবন চলে!

 

বঙ্গমোহন।।

কিন্তু ধর ডকুর সাথে বাধল বিরোধ কিছু,

বানান কিংবা তারিখ নিয়ে, কাগজ পিছু পিছু—

তখন আমায় কে বাঁচাবে? শাহানশাহের সেপাই?

তোমায় তখন কোথায় পাব, বল নেতার জামাই?

তার চেয়ে ভাই ভালো আছি, যেমন আছি তাতে

তোমাদের ওই ক্যা-প্রস্তাব নিচ্ছি নে ক’ পাতে।

কোথায় নাকি হচ্ছে শিবির তুলতে লোকের ঢল,

এবার সেথায় তোদের পাঠাই সব কটাকে চল্‌।।  

Post a Comment

0 Comments